ঠোঁটের বাড়তি যত্ন! - Bangla Health Tips

মানুষের শরীরের অন্যতম একটি সংবেদনশীল অঙ্গ ঠোঁট। শরীরের অন্যান্য অংশে প্রাকৃতিক তেল উৎপাদক গ্রন্থি থাকে, যা ত্বককে সজীব রাখে। শীতে যত্মের অভাবে মারাÍকভাবে ফেটে যেতে পারে ঠোঁট। প্রকৃতির রুক্ষতা শুষ্কতা থেকে ঠোঁটকে বাঁচাতে নিতে হবে খানিকটা বাড়তি যত্ন। শীতকালে সবসময় ঠোঁট আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে। ঠোঁটের মরা কোষ বা চামড়া তুলে ফেলুন। তবে ঠোঁটের চামড়া টেনে তুলতে যাবেন না। ঠোঁটে ভ্যাসলিন লাগিয়ে রেখে চামড়া নরম হলে টিস্যুর সাহায্যে আলতো হাতে চামড়া সরিয়ে নিন। ফেসিয়াল স্ক্রাবেও মরা চামড়া তুলে ফেলা সম্ভব। শীতে কখনোই ঠোঁটে ড্রাই লিপস্টিক দেবেন না। সময় ঠোঁট রাঙাতে বেছে নিন গ্লসি লিপস্টিক। ম্যাট লিপস্টিক লাগাতে চাইলে আগে লিপবাম, ময়েশ্চারাইজার বা কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। গ্লিসারিন গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন। বাইরে থেকে এসে ঠোঁটের মেকআপ পরিষ্কার করুন ভালোভাবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁট পরিষ্কার করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের যত্মে নিচের টিপস মেনে চলার চেষ্টা করুন :


প্রসাধনী ব্যবহারে অ্যালার্জি দেখা দিলে বা ইনফেকশন হলে অতিরিক্ত রোদ বা কনকনে ঠাণ্ডায় অথবা ত্বকে ভিটামিন বি অভাব দেখা দিলেও ঠোঁট ফাটার আশঙ্কা থাকে।

ধূমপান, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এতে ঠোঁটের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।

নখ বা দাঁত দিয়ে ঠোঁটের চামড়া তুলবেন না। এতে চামড়া উঠে ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে। ইনফেকশনও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঠোঁটে ঘি বা ভ্যাসলিন লাগান। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কাজটি করলে উপকার পাবেন।

অনেক দিনের পুরনো লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। ঠোঁটে সবসময় ভালো লিপস্টিক ব্যবহার করুন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে লিপস্টিক তুলে নিন। এরপর ঠোঁটে লিপজেল ব্যবহার করে ঘুমোতে যান।

বাদাম বা কোকো বাটার ঠোঁটে লাগালে ফাটার সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত তাজা ফলমূল, শাকসবজি, ভিটামিন বি সি আছে এমন খাবার খান।

ঠোঁটে সবসময় ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত।




ফ্রাইডে ডেস্ক

Post a Comment

0 Comments