হলুদ সারাবে যেসব সমস্যা

রান্নাবান্নার কাজে একটি দরকারি মসলা হলো হলুদ। তরকারিতে স্বাদ ও রং আনতে এর বিকল্প নেই। তবে রান্নার  কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও এটির অনেক ওষুধি গুণের কথা আমরা শুনে থাকি। শরীরের হাড়গোড় ভেঙে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এটির ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া আরও অন্যান্য চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়।

ত্বকের লাবণ্য ফেরাবে: 
ত্বকের লাবণ্য ফেরাতে ও সুন্দর করার ক্ষেত্রে হলুদ ব্যবহার করা হয়। এক চামচ দই, তিন চামচ হলুদ আর আধ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করুন ফেস মাস্ক। কিছুদিন পরই দেখবেন ত্বকের লাবণ্য ফিরে পাচ্ছেন।
ব্রণের সমস্যা দূর করবে: 
মূলত বয়ঃসন্ধিক্ষণ পার হলেই ব্রণের সমস্যায় ভুগতে হয় কম-বেশি সবাইকে। বাজার থেকে কেনা ক্রিম, ফেস ওয়াশ, ওষুধ, লোশন ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা করুন। ভালো ফল পাবেন, ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কাও থাকবে না। ১-৩ চামচ হলুদের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর তা ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর হবে।
চর্মরোগ প্রতিরোধ করবে: 
চর্মরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে হলুদ। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি শরীরের প্রদাহরোধক এবং জীবাণুরোধক ক্ষমতা রয়েছে এটির যা ফলিকিউলিটিস নামক চর্মরোগ নিরসনে সাহায্য করে। এই রোগ নিরাময়ে হলুদের ব্যবহারবিধি এরকম: এক কাপ হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে তা পান করতে হবে। গরম পানির পরিবর্তে গরম দুধ দিয়েও এই মিশ্রণ তৈরি করা যায়। ২-৩ বার করে কমপক্ষে এক সপ্তাহ এই মিশ্রণ পান করলে ফলিকিউলিটিস রোগের নিরাময়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। পানি বা দুধের সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ পান করতে না পারলেও আক্রান্ত স্থানে এটি ব্যবহার করলেও ফলিকিউলিটিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর ক্ষেত্রে পানি বা দুধের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ার মিশ্রণটি অনেক ঘন হতে হবে। এরপর দিনে অন্তত একবারের জন্য এটি ব্যবহার করতে হবে। মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর লাগানো মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফলিকিউলিটিস রোগের জ্বালা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পেতে শতভাগ ভালো না হওয়া পর্যন্ত এ মিশ্রণের ব্যবহার করা উচিত। মিশ্রণটি ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়মিত ব্যবহার করেই ভালো ফল পাওয়া যায়।
অন্ত্রের রোগে: 
যারা অন্ত্রের রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন টাটকা হলুদ বেটে যে রস পাওয়া যাবে তা বা সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খাবেন। রোগটি এতে সেরে যায় একেবারেই। যারা ক্রনিক ডায়রিয়া রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন ওই পথ্য তৈরি করে খেলে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
কৃমির সমস্যায়: 
কৃমির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে কাঁচা হলুদের রস ২০ ফোঁটা নিয়ে তার মধ্যে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে ওই রোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। চা চামচের এক চামচ হলুদ গুঁড়ো এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে বুকের সর্দির হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

Post a Comment

0 Comments