রোজার সময় খাবারের সময় বদলে যায় তাই নির্দিষ্ট খাদ্য এবং ওষুধবিধি মেনে চলা উচিত। বিস্তারিত জানাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম।
রোজার মাসকে অনেক ডায়াবেটিক রোগী তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাস মনে করে খাদ্য গ্রহণে তো বটেই এমনকি ওষুধ গ্রহণে এক ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করে থাকেন। বলাবাহুল্য, এর ফল মোটেও সুখকর নয়। অনিয়ম করলে হাইপোগ্গ্নাইসেমিয়া ও পানিশূন্যতা এসব কিছু রোগটিকে আরও জটিল করে তোলে। এজন্য রোজার দিনে চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিক রোগীর নির্দিষ্ট খাদ্য ও ওষুধবিধি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
ওষুধ সেবনের নিয়ম
যারা দিনে একবার ডায়াবেটিসের ওষুধ (যেসব ওষুধ ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়) সেবন করে থাকেন, তারা ইফতারের শুরুতে ওই ওষুধ একটু কম করে খেতে পারেন।
সেহরির আধা ঘণ্টা আগে
যারা দিনে একাধিকবার ডায়াবেটিসের ওষুধ খান, তারা সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের মাত্রাটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে গ্রহণ করতে পারেন।
শেষ রাতে অল্প মাত্রায়
যেসব রোগী ইনসুলিন ব্যবহার করেন, তাদের রমজানের আগেই ইনসুলিনের ধরন ও মাত্রা ঠিক করে নেওয়া উচিত। সাধারণত রমজানে দীর্ঘমেয়াদি ইনসুলিন ইফতারের সময় বেশি এবং প্রয়োজনে শেষ রাতে অল্প মাত্রায় দেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনসুলিন এগুলোতে হাইপোগ্গ্নাইসেমিয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম।
ওষুধ এবং ইনসুলিন ডোজ
রমজানের কমপক্ষে তিন মাস আগে ডায়াবেটিক রোগীর অবস্থা অনুসারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মুখে খাওয়ার ওষুধ এবং ইনসুলিন ডোজ ঠিক করা উচিত। রমজানের প্রথম এবং শেষ দিনে ওষুধগুলো সমন্বয় করে নিতে হবে। এই দু’দিন খাবার এবং জীবনযাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন হয়ে থাকে। রোজার মাসে রক্তের শর্করা কমে বা বেড়ে গেলে নিজেই ইনসুলিন বা ওষুধের ডোজ ঠিক করবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
0 Comments