প্রচণ্ড গরমে এক গ্লাস পানি খেলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই বলে হুটহাট করে একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করেই বরফজমা ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক নয়। শুধু গরম বলে নয়, আয়ুর্বেদশাস্ত্রে যেকোনো সময় ঠান্ডা পানি খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ঠান্ডা পানি হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। গ্রীষ্মের গরমের কথা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
‘দ্য কমপ্লিট বুক অব আয়ুর্বেদিক হোম রেমিডিস’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যেকোনো পরিস্থিতিতে ঠান্ডা বা শীতল পানিকে অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। তাই খাবারের সময় বা তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা পানি এড়ানো উচিত। এটি শরীরের পরিপাক রসের (গ্যাস্ট্রিক জুস) স্বাভাবিক কার্যকারিতায় বাধা দেয়। পেট গড়বড় করার জন্য ঠান্ডা পানি দায়ী। ওই বইয়ে ঠান্ডা পানির বদলে খাবারের মাঝখানে হালকা উষ্ণ পানি কয়েক চুমুক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডা পানিকে ‘না’ করার কারণ জেনে নিন:
‘দ্য কমপ্লিট বুক অব আয়ুর্বেদিক হোম রেমিডিস’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যেকোনো পরিস্থিতিতে ঠান্ডা বা শীতল পানিকে অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। তাই খাবারের সময় বা তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা পানি এড়ানো উচিত। এটি শরীরের পরিপাক রসের (গ্যাস্ট্রিক জুস) স্বাভাবিক কার্যকারিতায় বাধা দেয়। পেট গড়বড় করার জন্য ঠান্ডা পানি দায়ী। ওই বইয়ে ঠান্ডা পানির বদলে খাবারের মাঝখানে হালকা উষ্ণ পানি কয়েক চুমুক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডা পানিকে ‘না’ করার কারণ জেনে নিন:
১. হজমে বাধা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা কোমল পানীয় রক্তনালির সংস্পর্শে আসে এবং হজমপ্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। হজমের সময় যে পুষ্টি শোষিত হয়, সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। শরীর তখন হজমপ্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরের বেশি পানিশূন্যতা দেখা যায়। ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়, যা হজমপ্রক্রিয়ার বদলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাই ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২. গলাব্যথা:
গরমে ঠান্ডা পানি খেলে গলাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া সর্দি লাগার অন্যতম কারণ হতে পারে ঠান্ডা পানি। খাবারের পরপর ঠান্ডা পানি খেলে অতিরিক্ত মিউকাস (শ্লেষ্মা) তৈরি হয়। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি করে। যখন শ্বাসনালিতে বাধা তৈরি হয়, তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. চর্বি গলতে বাধা দেয়:
খাবারের পর ঠান্ডা পানি খেলে খাবারের চর্বির অংশ শক্ত হয়ে যায় বলে শরীর তা ভাঙতে পারে না। ফলে শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত চর্বি জমে। তাই খাবারের পরপরই অনেক বিশেষজ্ঞ পানি খেতে নিষেধ করেন। ভারতের বেঙ্গালুরুভিত্তিক পুষ্টিবিদ আনজু সুদ খাবারের অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি খেতে পরামর্শ দেন।
৪. হৃৎস্পন্দন কমায়:
ঠান্ডা পানি হৃৎস্পন্দন কমিয়ে দিতে পারে। শরীরের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা তৈরি করে এটি। যখন ঠান্ডা পানি খাওয়া হয়, তখন এর শীতল ভাব স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে হৃৎস্পন্দন কমিয়ে দেয়।
৫. পেটব্যথা হয়:
যাঁরা ওজন কমাতে শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ঠান্ডা পানি না খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের পর শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়। তখন ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তা মানায় না। এতে হজমে সমস্যা হয়। অনেকে পেটব্যথা অনুভব করেন। হিমশীতল পানি শরীরে বড় ধরনের ধাক্কা দেয়।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
0 Comments