অনেক সময় দেখা যায়, কম বয়সেই মাথার চুল এমন ভাবে পড়তে থাকে যে অল্প বয়সেই টাক সমস্যায় ভুগতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দূষণের কারণে, পরিচর্যার অভাবে বা পুষ্টিকর খাবার না খেলে চুল ঝরে যায়। একবার চুল ঝড়া শুরু হলে, তা ঠেকানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যেমন-
* খাবারে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন
মাথার চুল পড়া রোধ করার সঙ্গে নতুন চুল গজানোর ব্যাপারে ভিটামিন বি, বায়োটিন, ফোলেট, বি-২ ও বি-১২ প্রয়োজন। শাকসবজি ও মাছ থেকে পর্যাপ্ত বায়োটিন পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে বায়োটিনের ঘাটতি মেটাতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত ।
*বেশি করে মাছ খান
মাথার চুল পড়তে শুরু করলে হীনম্মন্যতা বাড়তে থাকে। তাই চুল পড়া রুখতে প্রতিদিন মাছ খাওয়া জরুরি। প্রোটিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর মাছ শরীরকে সুস্থ রাখে, চুল পড়া বন্ধ করে। মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি। এসবই চুলকে গোড়া থেকে শক্ত করে। চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুল পড়া রোধ করে। নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে। যে সকল কর্কটরোগীকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়, তাঁদেরও চুল পড়া রুখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত মাছ খাওয়ার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। তাই টাক পড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে মাছ খান প্রতিদিন।
* অধিক আয়রনযুক্ত খাবার খান
আপনার মাথায় চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে আয়রনের ভূমিকা অতুলনীয়। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে অধিকাংশ নারী রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার শিকার হন। এর সঙ্গে চুল ঝরতে থাকে। তাই চুলকে বাঁচাতে শরীরে আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা খুব জরুরি। নিত্যদিন কুমড়ো বীজের তরকারি, সয়াবিনের দুধ থেকে তৈরি দই (তফু) খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে না। চুলও পড়া বন্ধ হবে।
* অবশ্যই চিন্তামুক্ত থাকতে হবে
মাথার চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, নানারকম ভাবনাচিন্তা, অসুখবিসুখ মানসিক চাপ বাড়ায়। ফলে চুল পড়তে শুরু করে। চুল বাঁচাতে চাইলে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হন। মনটাকে সর্বদা ফুরফুরে রাখুন।
0 Comments