আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া এমনিতেই ভীতির সঞ্চার করেছে। নবজাতকের মাইক্রোসেফালি এ ভীতিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, জিকাকে প্রথমে যতোটা ভীতিকর বলে ধারণা করা হয়েছিল, ভাইরাসটি আসলে তার চেয়েও ভীতিকর।
সোমবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বিভাগের ড. আন্নি শুচাট বলেছেন, জিকাবাহী মশকী তুলনামূলক হারে বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম বলে আমরা জানতে পেরেছি। ফলে কোনো দেশের একটি এলাকায় জিকা শনাক্ত হলে, তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়টাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, এ মশকী যুক্তরাষ্ট্রের এক অঙ্গরাজ্য থেকে অন্য অঙ্গরাজ্যে উড়ে যেতে সক্ষম।
ড. আন্নি শুচাট বলেছেন, এ ভাইরাসের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমরা যা জানতে পেরেছি, তা আসলে ভরসাজনক কিছু না। এর সম্পর্কে আমরা যা জানি, এটি হয়তো তার চেয়েও ভয়ংকর।
গত এক বছর ধরে ব্রাজিলসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশে জিকার সংক্রমন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, ব্রাজিলে এ ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। গর্ভবতী নারীর দেহে জিকার সংক্রমন হলে নবজাতক অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির ও অপরিপক্ক মস্তিষ্ক (মাইক্রোসেফালি) নিয়ে জন্মায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
0 Comments