ভেবে থাকি ব্যথানাশক ওষুধ খেলেই মাথা ব্যথার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তা মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ হয়ে থাকে তাহলে তো বিপদ। হয়তো আপনার অবহেলার কারণে মারাত্মক সমস্যাটি বেড়েই চলেছে। তাই জেনে রাখা ভালো কোন ধরণের মাথা ব্যথা কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
১। জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা
জ্বরের সাধারণ ওষুধেও এই ব্যথা কমতে পারে। কিন্তু, তা যদি সপ্তাহখানেক পরেও না কমে, তবে অবশ্যই যোগাযোগ করুন ডাক্তারের সঙ্গে। হতে পারে এটি ম্যানেনজাইটিস।
২। দু-তিন দিন টানা মাথা ব্যথা
মাঝেসাঝেই মাথার ব্যথায় কাতরাতে হয়, এবং তা থাকে টানা দু-তিন দিন। এর কারণ হতে পারে, মস্তিষ্কে লাগাতার স্ট্রোক হচ্ছে যা আমরা
বুঝতেই পারছি না।
৩। মাথা ব্যথার সঙ্গে যখন কমজোর হয় দৃষ্টি
মাথা ঘোরা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, দৃষ্টি ঘোলাটে হয়ে আসা। মাথা ব্যথার সঙ্গে এই ধরনের উপশম থাকলে সাবধান হন। স্ট্রোকের আগে এমনটা হওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার।
৪। ওয়ার্কআউট বা সঙ্গমের পরে মাথা ব্যথা
যে কোনও শারীরিক কসরতের পরে বা শরীরী মিলনের পরে যদি মাথা যন্ত্রণা হয়, তবে হতে পারে তা ব্রেন টিউমারের লক্ষণ।
৫। মাথায় চোট পাওয়ার পরে ব্যথা
কখনও মাথায় চোট পেয়েছেন, তার কারণে অনেক পরেও নানা সমস্যা হতে পারে। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরার মত সমস্যা হলে বুঝতে হবে মাথার ভেতরে সেই আঘাতের প্রতিফলনেই এই যন্ত্রণা।
৬। সকালে উঠে মাথা ব্যথার সমস্যায় ভোগা এবং সেই সাথে বমি করার সমস্যা অনেক মারাত্মক একটি রোগের লক্ষণ। যদি দিন বাড়ার সাথে সাথে ব্যথা কমতে থাকে, কিন্তু হাঁটাচলা, শারীরিক পরিশ্রম, মাথা নিচু করা ইত্যাদি কাজ করার সাথে সাথে মাথাব্যথা বাড়তে থাকে তাহলে সাবধান হয়ে যান। কারণ এটি হতে পারে ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ।
৭। সব চাইতে ভয়াবহতম মাথা ব্যথার সমস্যা হচ্ছে সেলেব্রাল অ্যানিউরিজমের। মাথার সাথে এই ব্যথা গলা, ঘাড়েও অনুভূত হতে থাকে, সেই সাথে বমি, আলো সহ্য করতে না পারার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
0 Comments