অক্টোবর মাসকে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস হিসেবে গন্য করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস ২০০৪ সালে অক্টোবর মাসকে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস হিসেবে ঘোষণার করে। সেই থেকে গত বছর অব্দি বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশের অগণিত বাণিজ্যিক-সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের অসংখ্য ‘সাইবার চ্যাম্পিয়ন’ সাইবার সচেতনতা মাসের কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
যে প্রশ্নটি প্রথম মাথায় আসে তা হচ্ছে কেন এই সচেতনতা মাস প্রয়োজন? এই প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে আমাদের তাকাতে হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের দিকে। দিন যত যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা তত বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় পরিবর্তনের সুবাতাস বইছে। মানুষের জীবনের এমন কোনো পর্যায় নেই যেখানে এই তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগেনি। বিশেষ করে করোনার এই বাস্তবতা মানুষকে কয়েকগুন বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করে ফেলেছে। আগে যে সব ক্ষেত্রে চিন্তা ও করা যেত না সেই সব ক্ষেত্রেও বেড়েছে প্রযুক্তির নির্ভরশীলতা। এই প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা এক দিকে মানুষের জীবনকে যেমন সহজ করেছে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় সংকোচন করেছে ঠিক তেমনি তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধ। উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, গুজব, মিথ্যা খবর, কিশোর অপরাধ, আত্মহত্যা, পর্নোগ্রাফি, সাইবার বুলিং, জালিয়াতি, ব্যাংক ডাকাতি, চাঁদাবাজি, পাইরেসি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা সবই হচ্ছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাই যখন অপরাধের প্রশ্ন এসে যায় তখনই প্রয়োজন হয় সচেতনতার। আর এই সচেতনতা কে কেন্দ্র করে অক্টোবর মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে সচেতনতার মাস হিসেবে।
সাইবার ক্রাইমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সাইবার ক্রাইম একটি বাউন্ডারিলেস ক্রাইম। কারণ এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে এক দেশে বসে অপরাধ সংঘটিত করে আরেক দেশের নাগরিকদের ভিকটিম বানানো সম্ভব। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে সাইবার ক্রাইম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একদিকে অনলাইনে কেনাকাটা যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে ঠিক তেমনি এই অনলাইনে কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। তাই এই ধরমের অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতার কার্যক্রম ও কোন পরিসীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখা সম্ভব নয় ।
আমরা যদি একটু পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই তাহলে বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই ২০২২ পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২৭.৫৫ মিলিয়ন। যার মধ্যে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ১১৬.৪১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী, আইএসপি এবং ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ১১.১৪ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। উপরোক্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে সেই অনুপাতে সচেতন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে না। যার কারণে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অনেক ব্যবহারকারী জড়িয়ে পড়ছে সাইবার ক্রাইমের জালে।
বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ২০২২ সালের গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বৃদ্ধি পাওয়া সাইবার অপরাধের মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার, অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার, পর্নোগ্রাফি, কপিরাইট অপরাধ ইত্যাদি।
প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই সাইবার বুলিংয়ের শিকার। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী কিছুটা বেড়ে ৫০.২৭ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২১ সালের প্রতিবেদনে ছিল ৫০.১৬ শতাংশ। এছাড়াও যৌন হয়রানিমূলক একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি/ভিডিও (পর্নোগ্রাফি) ব্যবহার করে হয়রানি এবং ফটোশপে ভুক্তভোগীর ছবি বিকৃত করে হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। যৌন হয়রানিমূলক একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি/ভিডিও (পর্নোগ্রাফি) ব্যবহার করে হয়রানির পরিমাণ ২০২১ সালের প্রতিবেদনে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ছিলো
কিন্তু সেটা ২০২২ সালে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে এবং ফটোশপে ভুক্তভোগীর ছবি বিকৃত করে হয়রানির ঘটনা ২০২১ সালের প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ পাওয়া গেলেও ২০২২ সালে তা ১ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
তবে এই গবেষণা প্রতিবেদনে আরও দুটি চরম উদ্বেগজনক বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে । তা হচ্ছে ভুক্তভোগীদের বয়স এবং ভুক্তভোগীদের জেন্ডার। সাইবার অপরাধের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ১৮-৩০ বছর এবং এই বয়স সীমার ভুক্তভোগীদের হার ৮০ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে সাইবার অপরাধের ভুক্তভোগীদের জেন্ডারভিত্তিক পার্থক্য দেখলে দেখা যায়, ভুক্তভোগীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা ৫৬.৭৮%। তার মানে বোঝা যাচ্ছে মোট ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি নারী। অর্থাৎ নারীরাই সাইবার অপরাধীদের অন্যতম টার্গেট ।
এখন যে প্রশ্নটি জাগে তা হচ্ছে এই সাইবার ক্রাইম কি অপ্রতিরোধ্য? এই সাইবার ক্রাইম কি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়? উত্তর হচ্ছে এই সাইবার ক্রাইম মোটেও অপ্রতিরোধ্য নয়। এই সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রনে চাই সর্বস্তরে সচেতনতা। এই সচেনতা বিস্তারে চাই ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সদিচ্ছা। সচেতনতা তৈরির কাজে রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তি সবার দায় আছে। ব্যক্তিকে যেমন তার পারিবারিক পর্যায় থেকে সচেতনতা তৈরির কাজ করতে হবে, পরিবারের কেউ ভুক্তভোগী হলে তার পাশে থেকে সহাতুভূতির হাত বাড়িয়ে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করে যেতে হবে ঠিক তেমনি রাষ্ট্রকে ব্যাপক আকারে এই সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে মনোনিবেশ করতে হবে।
ব্যক্তি পর্যায়ে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ব্যক্তিকে ভুলে গেলে চলবে না যে সাইবার ক্রাইমের ভুক্তভোগীকে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তার সেই ক্ষতিপুরণ সব সময় আইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রুপে আদায় নাও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কারো টাকা বিদেশে চলে গেলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সেই টাকা ফেরত আনা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে যায়। তাই সাইবার স্পেস ব্যবহার করা প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজেকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে অবশ্যই নিরাপদ সাইবার স্পেস ব্যবহারের জন্য যে জ্ঞান প্রয়োজন সেই জ্ঞান নিজ দায়িত্বে অর্জন করতে হবে।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবারের। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পিতামাতাকে নিশ্চিত করতে হবে তার সন্তানের নিরাপদ সাইবার স্পেস ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে কিনা।সাইবার ক্রাইমে ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে পরিবারকে অবশ্যই সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে এবং ভুক্তভোগীকে তার ন্যায় বিচার পাবার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে হবে ।
এবার আসা যাক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে। এই সচেতনতা বিষয়ে যাবার আগে একটি ছোট্ট পরিসংখ্যান দেখা যাক। বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ২০২২ সালের গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আইন সম্পর্কে জানেন ৪৩.২২ শতাংশ।বাকি ৫৬.৭৮ শতাংশ ভুক্তভোগীর দেশে বিদ্যমানআইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
নারী ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ১১.০৬ শতাংশ সমস্যা নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছেন এবং ৪৫.৭৩ শতাংশ আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগীদের আইনি ব্যবস্থা না নেয়ার কারণের মধ্যে ভিন্নতা দেখা গেছে।বিষয়টিকে গোপন রাখতে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি সর্বোচ্চ ২১ শতাংশ ভুক্তভোগী। এছাড়া ১৭ শতাংশ ভুক্তভোগী সামাজিক ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য, ১৭ শতাংশ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উল্টো হয়রানি পোহাতে হবে, ১৭ শতাংশ অভিযোগ করেও কোনো লাভ হবে না ভেবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ৭% ভুক্তভোগী।অন্যদিকে ২% ভুক্তভোগী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন আছে তা মনেই করেননি।
পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে সচেতনতা তৈরি হওয়ার কথা ছিল তা তৈরি হয়নি। এখন কেন হয়নি তা নিয়ে দোষারোপের সংস্কৃতিতে না গিয়ে বরং কি করা যেতে পারে তা নিয়ে ভাবা উচিৎ। সর্বপ্রথম পাঠ্যপুস্তকে সাইবার সচেতনতামূলক বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সাইবার অপরাধের ভুক্তভোগী কিভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারে সেই আইনি বিষয়গুলোকে সহজ এবং বোধগম্য ভাষায় ব্যাপক আকারে প্রচার করতে হবে। এজন্য আমাদের গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। গণমাধ্যমে সাইবার সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান বেশি বেশি প্রচার করতে হবে। এবার আসা যাক দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেটি হচ্ছে এই অপরাধ যারা মোকাবিলা করবে তাদের সক্ষমতা নিয়ে।
অবশ্যই সাইবার থানার কার্যক্রম দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করতে হবে। এই থানায় যারা কাজ করবেন তাদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এবং তাদের শুধু সাইবার অপরাধ বিষয়ক কাজেই মনোনিবেশ করতে হবে। সাইবার অপরাধ মোকাবিলার জন্য চাই ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব।
সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেনাল কোড, ১৮৬০ প্রভৃতি আইন রয়েছে বটে কিন্তু যেহেতু অপরাধটা প্রযুক্তিনির্ভর এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতা সাধনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরনেও আসছে পরিবর্তন, তাই এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলার আইনেও আসতে হবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন।
এই বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোনিবেশ তা হচ্ছে যেহেতু সাইবার ক্রাইমের ভুক্তভোগীদের অর্ধেকের বেশি নারী তাই তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনকে যথাসম্ভব নারীবান্ধব হতে হবে। মনে রাখতে হবে যৌন হয়রানির সাথে সম্পর্কিত সাইবার ক্রাইমগুলো খুবই সংবেদনশীল হয়। এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য কিংবা ছবি নিয়ে একজন পুরুষের সাথে কথা বলতে গিয়ে একজন নারী ভুক্তভোগী অনেক সময় বিব্রত অনুভব করেন। তাই এই সব সংবেদনশীল মামলায় নারী ভুক্তভোগীর ক্ষেত্রে যথা সম্ভব নারী তদন্ত কর্মকর্তা এবং প্রসিকিউশনে নারী আইনজীবীর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসিকিউশন এবং তদন্তকারী বাহিনীকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু অপরাধটি তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত তাই আইনের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সর্বোপরি প্রসিকিউশন এবং তদন্তকারী বাহিনীর কাজে যেন কোন গাফিলতি না হয় সেই জন্য তাদের কাজকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, যতদিন পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে সমাজ না বের হয়ে আসবে, ততদিন সমাজে সচেতনতা তৈরি সম্ভব নয়। ভুক্তভোগীকে দোষারোপের মাধ্যমে অপরাধীকে এক ধরনের ছাড় দেয়া হয় এবং তাতে অপরাধী দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধে লিপ্ত হয়। তাই ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত দৃঢ় সচেতনতাই পারে এই অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করতে ।
0 Comments