সুস্থ থাকার চাবিকাঠি পাতিলেবু!

ঘরেই রয়েছে এমন অনেক কিছু যা ব্যক্তিকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারে হেসেখেলে। শুধু জানা দরকার কোন জিনিসটা ঠিক কীভাবে ও কখন ব্যবহার হবে। যেমন প্রত্যেক বাড়িতেই পাতিুলেবু মজুত থাকেই। এই পাতিলেবুর রস প্রতিদিন সকালে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে হাজারো রোগ দূর হবে।
পাতিলেবু ও পানি কী ধরনের সমস্যা থেকে ব্যক্তিকে মুক্তি দেয় তা আলোচনা করা হলো :

১. পাতিলেবু ভিটামিন সি-এর উৎস। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জোগান দেয় পাতিলেবু। এই ভিটামিন শরীরকে সুস্থ রাখতে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে কাজ করে।
২. লেবুতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে। আর পানি শরীরকে ক্ষতিকর উপাদান থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। দুইয়ের প্রভাবে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকী লেবু-জল দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের মৃত কোষগুলিও ধুয়ে যায়।
৩. খাওয়ার আগে লেবুপানি খেলে জিভের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া লেবুপানি শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে খাওয়ার আগে লেবুপানি খাওয়া বিশেষ উপকারী অভ্যাস।
৪. লেবুতে যে সাইট্রেট থাকে, তা কিডনিতে পাথর জমার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এছাড়া, যাদের কিডনিতে পাথর জমেছে তারাও নিয়মিত লেবুপানি খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. ভিটামিন‌ সি প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। ঘন ঘন সর্দিজ্বরের সমস্যায় যারা ভোগেন, তারা নিয়মিত লেবুজল খেলে উপকার পাবেন।
৬. সর্দির সময়ে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন প্রায় সকলেই। এক গ্লাস পানিতে আধখানা পাতিলেবুর রস গুলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তার পর পান করুন সেই মিশ্রণ। সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পাবেন নাক বন্ধের সমস্যা থেকে।
৭. শরীরের যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে কার্যকর হয় লেবুপানির মিশ্রণ। বিশেষত যারা ইউরিক অ্যাসিডের কারণে গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত লেবুপানি খেলে ভীষণ উপকার পাবেন।
৮. মদ্যপানের পর পরের দিন সকাল বেলা হ্যাংওভারের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তারা যদি সকালে খালি পেটে একগ্লাস লেবুপানি খেয়ে নেন, প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন হ্যাংওভার থেকে। এছাড়া মদের নেশা ছাড়ার চেষ্টা যারা করছেন তারাও নিয়মিত লেবুপানি খেলে মদ্যাসক্তি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
৯. লেবু‌পানির মিশ্রণ শরীরের ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে। ফলে ফু‌ড পয়েজনিং-এর মতো পেটের সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সহজ হয়।
১০. পাতিলেবু শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বৃদ্ধি পায় শরীরের সামগ্রিক কার্যকারিতা।

Post a Comment

0 Comments