কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুম…

ঘুম শরীরকে সতেজ রাখে। ঘুমের উপরই মানুষের শারীরিক সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শিল্পোন্নত দেশগুলোর অন্তত দশ শতাংশ মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগে। ঘুম নিয়ে মানুষের সমস্যা কম নয়। বেশিরভাগ মানুষ সময়মত ঘুমাতে পারেন না। বিছানায় শুয়ে পড়ার পরও ঘুম আসে না। এতে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়। তাই প্রত্যেক মানুষেরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ও সময়মত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। জেনে নিন কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

০ থেকে ৩ মাস— নবজাতকদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুমের সময় তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ হয়।
৪ থেকে ১১ মাস— চার মাস বয়স পেরোলেই বাচ্চাদের ঘুমের পরিমাণ একটু কমে যায়। তখন তারা জেগে খেলা করে। বা পরিজনদের চেনার চেষ্টা করে। তবে এই বয়সি বাচ্চাদের ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
১ থেকে ২ বছর— এই বয়সি বাচ্চাদের দিনে ঘুমনোর প্রবণতা কমে যায়। রাতেই মূলত ঘুমোয়। দিনে ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম না হলেই নয়।
৩ থেকে ৫ বছর— বাচ্চারা স্কুলে ভর্তি হলে ঘুমের সময় কম পায়। তার ওপর সকালে ওঠার ঝামেলা থাকে। এসবের পরেও ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
৬ থেকে ১৩ বছর— এই বয়সে পড়াশোনার চাপ বাড়তে থাকে। সঙ্গে যোগ হয় নাচ, গান বা আঁকা শেখা। ফলে চাপও বাড়ে। কিন্তু বাচ্চাদের ঘুমের ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলে চলবে না। ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। প্রতিদিন ঠিক সময় ঘুমোতে যাওয়াটাও দরকার। নয়তো ঠাপ পড়ে শরীরে।
১৪ থেকে ১৭ বছর— এ সময় পড়াশোনার চাপ আরও বাড়ে। কিশোর–কিশোরীদের অনেকেই রাত জেগে পড়াশোনা করে। এর ফলে নানারকম শারীরিক-মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। কিন্তু যত চাপই থাকুক, ৮ ঘণ্টা অন্তত ঘুমাতেই হবে।
১৮ থেকে ২৫— স্কুল ছেড়ে কলেজে ভর্তি। তার পর কর্মজীবন। জীবনে এতগুলো পরিবর্তন। তাই বিশ্রামটাও বেশি জরুরি। অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন।
২৬ থেকে ৬৪— এই বয়সে নিউরনের একটি অংশ (‌ভেন্ট্রোল্যাটেরাল প্রিঅপটিক নিউক্লিয়াস)‌ নষ্ট হতে থাকে। ফলে ঘুম কমে যায়।  দিনে তবু ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম কিন্তু জরুরি।
৬৫–এর বেশি— বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম আরও কমে যায়। ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতেই হয়। তবে অনেকের ৫ ঘণ্টারও কম ঘুম হয়।

Post a Comment

0 Comments